বান্দরবান জেলায় মা ও শিশুর পুষ্টি বিষয়ে কাজ করবে

0
বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি:
LEAN প্রকল্প বান্দরবান জেলায় মা ও শিশুর পুষ্টি বিষয়ে কাজ করবে। পুষ্টি গভর্ণেন্স বিষয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আর্থিক সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউনাইটেড পারপাস এর নেতৃত্বে ৩ পার্বত্য জেলার ১৮ টি উপজেলায় কাজ শুরু করা লিডারশিপ টু ইন শিওর এডিক্যুয়েট নিউট্রিশন’ প্রকল্পের জেলা পর্যায়ের অবহিতকরণ উপলক্ষে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈ হ্লা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান পার্বত্য জেলাপরিষদেও সম্মানিত সদস্য ও কৃষি বিষয়ক কনভেনর ক্য সা প্রু ও বান্দরবান জেলার সিভিল র্সাজন ডা: অং সুই প্রু মারমা, পরিবার-পরিকল্পনা বিভাগের বান্দরবানের উপ-পরিচালক ডা: অং চা লু।
এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন বান্দরবান প্রেস ক্লাব সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু, প্রথম আলো প্রতিনিধি বুদ্ধ জ্যোতি চাকমা সহ জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সেক্টরের কর্মকর্তাবৃন্দ, কারিতাস বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সিনিয়র ম্যানেজার ও চট্টগ্রাম রেজিয়নের রেজিয়ন ডাইরেক্টর, হেডম্যান কার্বারী প্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধিবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীবৃন্দ। প্রথান অতিথি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বক্তবে বলেন প্রকল্প পরিচালনায় যেন ডুপ্লিকেশননা হয়। সিভিল র্সাজন মহোদয় বলেন সবাইকে প্রোএকটিভ হতে হবে, লক্ষ্যে পৌছার জন্য একাগ্রভাবেএগিয়ে যেতে হবে ।
প্রকল্পটির প্রকল্প পরিচালক সুভাগ্য মঙ্গল চাকমার সার্বিক সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটিতে  স্বাগত বক্তব্য রাখেন হিতৈসীখীসা এবং সমাপনী ভাষণ প্রদান করেন কারিতাস সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রঞ্জনফ্রান্সিস রোজারিও। তিনপার্বত্য জেলার ৭৮ টি ইউনিয়নে চলমান প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হল পার্বত্য জেলাগুলির ২,৮২,০০০ গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মা/ল্যাকটেটিং মাদার, কিশোরী, এবং ৫ বছরের কম বয়সী শিশুর পুষ্টির উন্নতি সাধন করা যেন শিশুদেও অপুষ্টিরঘাটতি পূরণ করা যায় । প্রকল্পটির বাস্তবায়নে টেকনিক্যাল পার্টনার হিসেবে যুক্ত রয়েছে হেলভেটাসসুইস ইন্টারকোপারেশন, গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ইমপ্রুভডনিউট্রিশন, কারিটাস বাংলাদেশ এবং বাস্তবায়নকারী পার্টনার হিসেবে যুক্ত আছে কারিটাস বাংলাদেশ, আইডিএফ এবং জুমফাউন্ডেশন। অতিথিরা প্রতিদিনই খাদ্য তালিকায় পুষ্টি জাতীয় খাবার রাখার পরামর্শ দেন। পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের পুষ্টির  প্রয়োজনীতা সর্ম্পকে নানা তথ্য তুলে ধরেন, এবং আপদকালীন সময়ে পার্বত্য অঞ্চলের জনসাধারন যাতে পুষ্টি বিষয়ক কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয় তার জন্য সকলের মতামত ও পরামর্শের ভিত্তিতে প্রয়োজনীতা গ্রহনের জন্য আহব্বান জানানো হয়। তিন পার্বত্য জেলায় এই সব পুষ্টি সমস্যা সমাধানে সকলে এক যোগে কাজ কওে যাওয়ার আহব্বান জানানো হয়। সকলে মিলিত প্রয়াস আরসহযোগীতা পাশে থাকলে পুষ্টি বিষয়ক সকল সমস্যা সহজে নিরসন করা যাবে বলে সকলে মনে করেন।
Leave A Reply